আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্যে করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমি সহজে তার প্রশ্নের উত্তর দেই না। এই জন্য দেই না যে আমি তার প্রশ্ন আমলেই নেই না। তিনি অনেক কথা বলেন, যার সাথে রাজনীতিক ও বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক থাকে না। তিনি (ওবায়দুল কাদের) এখন তার ঘড়ি সমাচারে সাংঘাতিকভাবে চিন্তিত আছেন। লক্ষ লক্ষ টাকার ঘড়ি তার হাতে আছে। এ নিয়ে কথা হচ্ছে, তিনি বিব্রত অবস্থায় আছেন।
বৃহস্পতিবার নীলফামারী জেলা বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিল্পকলা একাডেমীতে জেলা বিএনপির আহবায়ক আলমগীর সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও জাহাঙ্গীর আলম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি আখতারুজামান মিয়া, নীলফামারী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জহুরুল আলম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রাশেদুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি মাহাবুব রহমান সহ জেলা ও উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি একটি উদারপন্থী রাজনৈনিক দল, বিএনপি গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে, বিএনপি কোনো দাঙ্গাবাজ, উগ্রবাদ বা বিপ্লবী রাজনৈতিক দল নয়। আমাদের হাতে পিস্তল ও বন্দুক নেই, আমাদেরকে জনগণকে সংগঠিত করে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ওটাই আমাদের কাজ। এজন্যই আমারা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছি।
তিনি বলেন, এই সরকার একটি ফ্যাসিবাদী সরকার, এই সরকার নির্বাচন কমিশনকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এই সরকার পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনী দিয়ে নির্বাচনের ফলাফল তাদের পক্ষে নিয়ে যাওয়ার কাজ অতীতে করেছে, বর্তমানেও সেই চেষ্টা করবে। তবে আমরা এবার মুখ বুঝে বসে থাকব না, আমরা নির্বাচনটা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছি। সিটি নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীদের সাথে বিপুলসংখ্যক মানুষ মাঠে নামছে, এই নামাটাইতো আমাদের বিজয়। যেখানে আমরা নামতে পারি না, চলতে পারিনা, পুলিশ বাধা দেয়, নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা বেরিয়ে আসছি। নেত্রীর মুক্তির কথা বলতে পারছি, ধানের শীষের বিজয়ের কথা বলতে পারছি। এটাই আমাদের বিজয়। এই বিজয়কে আমরা যদি আরো সুসংগঠিত করতে পারি তাহলে তাদেরকে পরাজিত করা সম্ভব হতেও পারে।
ফখরুল আরো বলেন, বর্তমানে আমরা কঠিন সময় পার করছি। শুধু আমরা নই সমস্ত বাংলাদেশ আজ কঠিন রাজনৈতিক সঙ্কটে আছে। সেই সঙ্কটটি হচ্ছে, বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র নেই। আমরা ৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছিলাম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য, গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য, আমাদের দেশ আমরা শাসন করব এ জন্য । কিন্তু স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরে কেউ বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে আমরা যে স্বপ্ন দেখে, যে চিন্তা-চেতনায় যুদ্ধ করেছিলাম তা পূরণ হয়েছে, তা হয়নি। যে নেত্রীর স্বামী ৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা করেছিলেন,পাক হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দী হয়েছিলেন, নির্যাতিত হয়েছেন তার স্ত্রীকে এই সরকার কারাগারে বন্দী করে রেখেছেন।
আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রশ্ন করে ফখরুল বলেন, আপনারা কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলেন কিন্তু জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া, জনগনের অধিকার কেড়ে নিয়ে, জনগণকে হত্যা করে অবৈধভাবে ক্ষমতা যেয়ে যে শাসন করছেন সেই শাসন মুক্তিযুদ্ধের শাসন নয়, আপনারা আজকে মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করছেন। আপনারা মুক্তিযদ্ধের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করছেন।
তিনি বলেন, যে সংবিধান তৈরী করা হয়েছিল সেই সংবিধান আওয়ামী লীগ লঙ্ঘন করেছে। এজন্য একদিন আপনাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে।
তিনি আরো বলেন আওমামী লীগ আগে রিলিফ চুরি করত, আজ তারা ব্যাংক চুরি করছে, শেয়ার বাজার চুরি করছে। হাজার হাজার টাকা ব্যাংক থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে। আজ লুট ছাড়া কিছু নেই। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রকে আজ চোর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ডিসেম্বর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তারা নির্বাচন করেছে ২৯ তারিখে। নির্বাচন কমিশনকে তারা যা বলছে তাই করছে। র্যাব পুলিশ,প্রশাসন সব কিছুকে ব্যবহার করেছে। এমনকি বিচার বিভাগকে ছাড় দেননি। আজ বিচার বিভাগও স্বাধীন নেই। তারা জোর করে ক্ষমতায় রয়েছে।
আওয়ামী লীগের দুশাসন থেকে দেশকে রক্ষার জন্য নেতাকর্মীদের গ্রাম-গঞ্জে সর্বত্র দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান তিনি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, প্রাণ প্রিয় নেত্রীকে মুক্ত করতে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সবাইকে রুখে দাড়াবার আহবান জানান।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্যে করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমি সহজে তার প্রশ্নের উত্তর দেই না। এই জন্য দেই না যে আমি তার প্রশ্ন আমলেই নেই না। তিনি অনেক কথা বলেন, যার সাথে রাজনীতিক ও বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক থাকে না। তিনি (ওবায়দুল কাদের) এখন তার ঘড়ি সমাচারে সাংঘাতিকভাবে চিন্তিত আছেন। লক্ষ লক্ষ টাকার ঘড়ি তার হাতে আছে। এ নিয়ে কথা হচ্ছে, তিনি বিব্রত অবস্থায় আছেন।
বৃহস্পতিবার নীলফামারী জেলা বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিল্পকলা একাডেমীতে জেলা বিএনপির আহবায়ক আলমগীর সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও জাহাঙ্গীর আলম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি আখতারুজামান মিয়া, নীলফামারী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জহুরুল আলম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রাশেদুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি মাহাবুব রহমান সহ জেলা ও উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি একটি উদারপন্থী রাজনৈনিক দল, বিএনপি গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে, বিএনপি কোনো দাঙ্গাবাজ, উগ্রবাদ বা বিপ্লবী রাজনৈতিক দল নয়। আমাদের হাতে পিস্তল ও বন্দুক নেই, আমাদেরকে জনগণকে সংগঠিত করে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ওটাই আমাদের কাজ। এজন্যই আমারা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছি।
তিনি বলেন, এই সরকার একটি ফ্যাসিবাদী সরকার, এই সরকার নির্বাচন কমিশনকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এই সরকার পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনী দিয়ে নির্বাচনের ফলাফল তাদের পক্ষে নিয়ে যাওয়ার কাজ অতীতে করেছে, বর্তমানেও সেই চেষ্টা করবে। তবে আমরা এবার মুখ বুঝে বসে থাকব না, আমরা নির্বাচনটা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছি। সিটি নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীদের সাথে বিপুলসংখ্যক মানুষ মাঠে নামছে, এই নামাটাইতো আমাদের বিজয়। যেখানে আমরা নামতে পারি না, চলতে পারিনা, পুলিশ বাধা দেয়, নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা বেরিয়ে আসছি। নেত্রীর মুক্তির কথা বলতে পারছি, ধানের শীষের বিজয়ের কথা বলতে পারছি। এটাই আমাদের বিজয়। এই বিজয়কে আমরা যদি আরো সুসংগঠিত করতে পারি তাহলে তাদেরকে পরাজিত করা সম্ভব হতেও পারে।
ফখরুল আরো বলেন, বর্তমানে আমরা কঠিন সময় পার করছি। শুধু আমরা নই সমস্ত বাংলাদেশ আজ কঠিন রাজনৈতিক সঙ্কটে আছে। সেই সঙ্কটটি হচ্ছে, বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র নেই। আমরা ৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছিলাম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য, গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য, আমাদের দেশ আমরা শাসন করব এ জন্য । কিন্তু স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরে কেউ বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে আমরা যে স্বপ্ন দেখে, যে চিন্তা-চেতনায় যুদ্ধ করেছিলাম তা পূরণ হয়েছে, তা হয়নি। যে নেত্রীর স্বামী ৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা করেছিলেন,পাক হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দী হয়েছিলেন, নির্যাতিত হয়েছেন তার স্ত্রীকে এই সরকার কারাগারে বন্দী করে রেখেছেন।
আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রশ্ন করে ফখরুল বলেন, আপনারা কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলেন কিন্তু জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া, জনগনের অধিকার কেড়ে নিয়ে, জনগণকে হত্যা করে অবৈধভাবে ক্ষমতা যেয়ে যে শাসন করছেন সেই শাসন মুক্তিযুদ্ধের শাসন নয়, আপনারা আজকে মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করছেন। আপনারা মুক্তিযদ্ধের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করছেন।
তিনি বলেন, যে সংবিধান তৈরী করা হয়েছিল সেই সংবিধান আওয়ামী লীগ লঙ্ঘন করেছে। এজন্য একদিন আপনাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে।
তিনি আরো বলেন আওমামী লীগ আগে রিলিফ চুরি করত, আজ তারা ব্যাংক চুরি করছে, শেয়ার বাজার চুরি করছে। হাজার হাজার টাকা ব্যাংক থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে। আজ লুট ছাড়া কিছু নেই। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রকে আজ চোর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ডিসেম্বর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তারা নির্বাচন করেছে ২৯ তারিখে। নির্বাচন কমিশনকে তারা যা বলছে তাই করছে। র্যাব পুলিশ,প্রশাসন সব কিছুকে ব্যবহার করেছে। এমনকি বিচার বিভাগকে ছাড় দেননি। আজ বিচার বিভাগও স্বাধীন নেই। তারা জোর করে ক্ষমতায় রয়েছে।
আওয়ামী লীগের দুশাসন থেকে দেশকে রক্ষার জন্য নেতাকর্মীদের গ্রাম-গঞ্জে সর্বত্র দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান তিনি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, প্রাণ প্রিয় নেত্রীকে মুক্ত করতে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সবাইকে রুখে দাড়াবার আহবান জানান।